বাংলাদেশি (mud crab) কাঁকড়ার জীবন চক্র
কাঁকড়ার জীবন চক্র সাধারণত কয়েকটি ধাপে বিভক্ত। এর মধ্যে থাকে ডিম, লার্ভা, নাবালক এবং পূর্ণাঙ্গ কাঁকড়া (প্রাপ্তবয়স্ক)। এখানে কাঁকড়ার জীবন চক্রের ধাপগুলো বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হলো:
ডিম (Egg):
কাঁকড়ার প্রজনন প্রক্রিয়া শুরু হয় মাদি কাঁকড়া ডিম দিতে শুরু করার মাধ্যমে। সাধারণত মাদি কাঁকড়া অনেকগুলো ডিম একত্রে দেয়। এই ডিমগুলো কাঁকড়ার গায়ে সংযুক্ত থাকে এবং কিছু সময় পরে তা থেকে লার্ভা বের হয়।
লার্ভা (Larval Stage):
কাঁকড়ার লাভা হল কাঁকড়ার প্রজননে একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। আটি মূলত কাঁকড়ার ডিম থেকে উৎপন্ন হয়। এবং এটি প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে গেলে কাঁকড়ার রুপান্তরিত হয়।
এই কাঁকড়ার লাভা পানিতে ভাসতে থাকে এবং ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উদ্ভিদ প্ল্যাঙ্কটন খেয়ে থাকে। কাঁকড়ার লাভা যখন কাঁকড়ার আকৃতি ধারন করতে সুরু করে তারা ধিরে ধিরে পানির তলদেশে চলতে সুরু করে।
কাঁকড়ার লাভা যখন একটি পূর্ণাঙ্গ কাঁকড়ার আকারে পরিণত হয় তখন এটি ধীরে ধীরে জলজ পরিবেশে সাথে খাপ খাওয়ায়।
নাবালকঃ
কাঁকড়ার নাবালক বলতে ছোট বা বয়স না হওয়া কাঁকড়াকে বোঝানো হয়। এই কাঁকড়ার গুলো পরিপূর্ণ আকৃতিতে পৌঁছায়নি এবং এ গুলো বিক্রির জন্য উপযুক্ত নয়।
বাংলাদেশে নাবালক কাঁকড়ার ধরা এবং বিক্রির নিষিদ্ধ কারণ এটি প্রাপ্তবয়স্ক হলে সঠিক প্রজনন মাধ্যমে আমারদের দেশে মৎস্য সম্পদের পরিমান বাড়াতে সহায়তা করে।
পূর্ণাঙ্গ কাঁকড়া (প্রাপ্তবয়স্ক)
প্রাপ্তবয়স্ক কাঁকড়া বা পূর্ণাঙ্গ কাঁকড়া সাধারণত তাদের জীবনের পূর্ণ পরিণতিতে পৌঁছানোর পর চিহ্নিত করা হয়। এদের বৈশিষ্ট্যগুলো বয়স, আকৃতি, ও ওজন ভেদে আলাদা হতে পারে।
প্রাপ্তবয়স্ক কাঁকড়ার আকার ছোট থেকে বড় হতে পারে, একটি প্রাপ্তবয়স্ক কাঁকড়া ৮ থেকে ২৮ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হতে পারে। কাঁকড়া পূর্ণাঙ্গ বয়স হলে তাদের খোলস শক্ত হয়ে উঠে।
কাঁকড়া প্রাপ্তবয়স্ক হলে তাদের পা সাধারণত ৮ থেকে ৯ টি হয়ে থাকে। একটি প্রাপ্তবয়স্ক কাঁকড়া শৈবাল, ছোট মাছ এবং জৈব পদার্থ খেয়ে বেঁচে থাকে। একটি পূর্ণা
বয়স্ক স্ত্রী কাঁকড়া ডিম পাড়ে, যা সাধারণত পানির তলায় মাটি গর্তো করে রাখে। বাংলাদেশে প্রাপ্তবয়স্ক কাঁকড়া খুবয় অর্থনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। এই প্রাপ্তবয়স্ক কাঁকড়া বিক্রিয় করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা হয়।