মাছের প্রাকৃতিক খাবার তৈরির পদ্ধতি
মাছের প্রাকৃতিক খাবার হলো এমন খাবার, যা মাছের জন্য প্রাকৃতিক পরিবেশে সহজেই পাওয়া যায়। প্রাকৃতিক খাবারে খরচ অনাক কম হয় এবং এর পুষ্টি গুন ও বেশি। তবে প্রাকৃতিক খাবার একটি পুকুরে তৈরি করতে গেলে কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করে উচিত।
মাছের প্রাকৃতিক খাবার প্রধানত ২ ভাগে বিভক্তঃ
উদ্ভিদজাত খাবার | প্রাণীজাত খাবার |
শৈবাল | ডাফনিয়া |
লালশাক | রোটিফার |
ডায়াটম | আর্থ্রোপোড |
পালনশাক | নেকটন |
কল্মিশাক | বেনথোস |
প্রথমে উদ্ভিদজাত খাবার নিয়ে আলচনা করা যাক।
শৈবাল
শৈবাল সূর্যের আলো, পানি এবং কার্বন ডাই-অক্সাইড ব্যবহার করে নিজের খাদ্য নিজে তৈরি করে। যা মাছের জন্য পুষ্টিকর খাবার।
ডায়াটম
ডায়াটম হলো এককোষী জীব। এরা মাছের খাদ্য শৃঙ্খলে মৌলিক ভুমিকা পালন করে।
ডায়াটম তৈরির পদ্ধতি: সূর্যের আলোর সাহায্যে ফোটোসিন্থেসিসের মাধ্যমে ডায়াটম তৈরি হয়।
লালশাক
লালশাক মাছের জন্য একটি পুষ্টিকর খাদ্য। লালশাক মাছকে হজম প্রক্রিয়া করতে সহজ করে দেয় এবং এটি মাছের ত্বক ও পাখনা সুস্থ রাখতে। লালশাককে রোদে শুকিয়ে গুড়ো করে কিছু খাবারের সাথে মিশিয়ে মাছের খাবার তরিয় হয়।
লালশাক তৈরির পদ্ধতিঃ লালশাকের চারা পুতে তাতে জৈব সার ব্যবহার করে লালশাক তৈরি হয়।
পালনশাক
১ তারি পালনশাক নিয়ে কুচি কুচি করে কেটে ট্যাঙ্কের চার পাশে ছরিয়ে দিতে হবে। যাতে পালনশাক জলকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে এবংমাছ দ্রুত বৃদ্ধি পাই।
পালনশাক তৈরির পদ্ধতিঃ সূর্যের আলোর সাহায্যে পালনশাক উৎপাদন হয়।
কল্মিশাক
কল্মিশাক জলে অক্সিজেনের উৎপাদনে সহায়তা করে যা মাছের জন্য স্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি করে।
কল্মিশাক তৈরির পদ্ধতিঃ কল্মিশাক চাষ করতে হয় না মাঠে ঘাটে সূর্যের আলোর মাধ্যমে সৃষ্টি হয়।
এবার আসি প্রাণীজাত খাবার নিয়ে
ডাফনিয়া
মাছ ডাফনিয়া খেয়ে খুব সহজে হজম করতে পারে যা মাছের প্রচুর পুষ্টি যোগ্যায়। এতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এ এবং ডি আছে।
ডাফনিয়া তৈরির পদ্ধতিঃ পচা গোবরের মাধ্যমে ডাফনিয়া সৃষ্টি হয়।
রোটিফার
রোটিফার একটি ছোট জলজ প্রাণী যা মাছ খেতে খুব পছন্দ করে কারণ এই প্রাণী লবণাক্ত পানিতে চাষ করে।
রোটিফার তৈরির পদ্ধতিঃ রোটিফার মিঠাপানির প্রজাতি এরা পার্থেনোজেনেসিসের মাধ্যমে সৃষ্টি হয়।
আর্থ্রোপোড
আর্থ্রোপোড মাছকে রোগ প্রতিরোধের হাত থেকে রক্ষা করে এবং মাছের সুরক্ষা বজায় রাখে। আর্থ্রোপোড মিঠা পানিতে হয়ে থাকে।
আর্থ্রোপোড তৈরির পদ্ধতিঃ আর্থ্রোপডের হেমোলিম্ফ হল রক্তের অ্যানালগ থেকে সৃষ্টি।
নেকটন
নেকটন মাছের জন্য একটি প্রাকৃতিক খাদ্য উৎস, এটি মাছের খাদ্য চক্রে অংশগ্রহণ করে এবং খাদ্য চক্রেকে ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
নেকটন তৈরির পদ্ধতিঃ নেকটন হল উদ্ভিদ থেকে সৃষ্টি একটি তরল নেকটারই গ্রন্থি থেকে উৎপন্ন হয়।
বেনথোস
বেনথোস মাছের গুনমান বজায় রাখতে সহায়তা করে। এটি মাছের একটি প্রিয় খাদ্য। বেনথোস পানির তলদেশে থাকা জৈবপদার্থ যা ভেঙে পুষ্টিকর উপাদান তৈরি করে।
বেনথোস তৈরির পদ্ধতিঃ সালোকসংশের মাধ্যমে শৈবাল থেকে এই বেনথোস উৎপন্ন হয়।
সতর্কতা:
- মাছের খাবার তৈরি করার সময় খাবারের পুষ্টির ভারসাম্য রক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মাছের প্রজাতির উপর ভিত্তি করে খাদ্য উপকরণগুলি কাস্টমাইজ করা যেতে পারে।
- কিছু খাবার (যেমন শাক, মিষ্টি আলু) অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়ালে মাছের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে, তাই পরিমিত ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।